Business Storytelling
আমরা মনে করি বিজনেস বা ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই বড় বড় সংখ্যা, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, লাভ-ক্ষতির হিসেব ইত্যাদি। কথা সত্য। কিন্তু আমরা বড় বড় সংখ্যা, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এগুলো হয় বুঝিনা, না হয় মনে রাখিনা বা রাখতে পারিনা। যেখানে মাত্র দুইদিন আগের পত্রিকার শিরোনাম আমরা ভুলে যাই সেখানে বিজনেসের মত জটিল বিষয় কীভাবে সম্ভব? বড় বড় সংখ্যা, তথ্য-উপাত্ত আমাদের আসলে প্রভাবিত করতে পারেনা। তাই আমাদের গল্পের আশ্রয় নিতে হয়।
যেকোনো ব্যবসা-ধারণার (Business Idea) পেছনে একটা গল্প থাকে। আবার যদি আপনি আপনার ব্যবসাকে বড় করতে চান বা নতুন পণ্য বা সেবা চালু করতে চান দেখবেন এটার পেছনেও একটা গল্প আছে। তাই একজন বিজনেস লিডার, একজন সিইও, একজন উদ্ভাবককে গল্প বলতেই হয়। তাদের স্বপ্নের পেছনের গল্প বলতে হয়। আর গল্পটি সুন্দরভাবে বলা হলে গ্রাহক, স্টেকহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারী আপনার কনটেক্সটটি বুঝতে পারবে। আপনার পণ্য বা সেবা কোন সমস্যার সমাধানের জন্য তৈরি, সমস্যাটি কীভাবে আপনাকে ভুগিয়েছে এবং কীভাবে আপনি এর সমাধানে এগিয়ে আসলেন এবং সমাধানটি আপনার জীবনে কী ভ্যালু এ্যাড করেছে ইত্যাদি নিয়ে গল্প বলাটা জরুরি। এসব গল্প বলতে পারলে আপনার গ্রাহক, স্টেকহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারী সবার প্রথমে আপনাকে বিশ্বাস করবে এরপর আপনার পণ্য বা সেবা গ্রহণ করবে এবং বিনিয়োগ করবে।
শুধু গ্রাহক, স্টেকহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারীদের গল্প বলে মনজয় করতে পারলেই একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হয়ে যায়না। একটা বিজনেসের প্রাণ হল তার কর্মীরা। তাই কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, কোম্পানির মিশন-ভিসন-ভ্যালু চর্চা, কর্মীদের অনুপ্রাণিত করা, নলেজ ম্যানেজমেন্ট, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট, পার্টনার-ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট, টিম ওয়ার্ক, ঝগড়া-বিবাদ মেটানো ইত্যাদি কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে করতে হয়। একটি প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও বাহির থেকে নানা ধরনের চাপ আসতে পারে। সেটাও একজন বিজনেস লিডারকে ম্যানেজ করতে হয়। উল্লিখিত কাজগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিজনেস স্টোরি টেলিং বা গল্প বলা হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকর এবং পরীক্ষিত মাধ্যম।
ভাবছেন বিজনেস স্টোরি টেলিং বুঝি রকেট সায়েন্স? চলুন আমরা একসাথে বিজনেস স্টোরি টেলিং শেখা শুরু করি।