Data Storytelling
একটা মজার এবং অবাক করার মত তথ্য। গত ৫০০০ বছরে যে পরিমাণ ডাটা আমরা উৎপাদন করেছি তার চেয়ে বেশি ডাটা করেছি ২০১৭ সালে। চিন্তা করা যায়? এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে টনের টন ডাটা তৈরি হচ্ছেনা। বায়োটেকনোলজি থেকে শুরু করে এনার্জি, ইন্টারনেট অব থিংস, অটোমোবাইল, স্বাস্থ্য সেবা, সাইবার সিকিউরিটি, গেমিং, বিনোদন পর্যন্ত সব সেক্টরের জন্য একথা সত্য। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালের মোট ডাটার ০.৫ শতাংশের কম আমরা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। কারণ এককভাবে ডাটা আসলে কিছুই করতে পারেনা, যতক্ষণ এর মধ্যে আত্মা (গল্প) না ঢুকিয়ে দেয়া যাবে।
সর্বশেষ দিয়েছেন এমন একটা প্রেজেন্টেশনের কথা মনে করার চেষ্টা করেন যেখানে অসংখ্য তথ্য-উপাত্ত, চার্ট এবং টেবিলে ভরা ছিল। সেই প্রেজেন্টেশনের কতটুকু আপনার মনে আছে? ডাটাগুলো কি আপনার শ্রোতাদের অবাক করতে পেরেছিল? তাদের আবেগে নাড়া দিতে পারেছিল? এখান থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইনসাইট কি তারা পেয়েছিল যা তাদের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সাহায্য করেছে? আপনি নিশ্চিত ধরে রাখতে পারেন, বড় বড় ডাটা আপনার ম্যাসেজকে দুর্বল করে দিবে, দর্শক বা শ্রোতা বিরক্ত হবে। এক কথায় তারা কোনো একশনে যাবেনা। তাই আপনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন ডাটা ব্যবহারে আপনাকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। ডাটার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ গল্প আপনাকে বলতে হবে।
উদ্বোধনের সময় স্টিভ জবস আইপড-এর স্টোরেজ সম্পর্কে বলেছিলেন “1000 Songs in Your Pcket”। তিনি 160K Bit Rate– ৫ গিগাবাইট মেমোরি বলতে পারতেন। একহাজার গান পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একটা দারুণ ক্রেজের বিষয়। বিষয়টি মানুষের মাথায় ঢুকে যায়। স্টিভ জবস কেন এই রাস্তা বেছে নিলেন? কারণ তিনি জানতেন, মানুষ একটা ডাটার চেয়ে একটা গল্প ২২ গুণ বেশি মনে রাখতে পারে। ডাটা ব্যবহার করে গল্প বলতে পারার অর্থ হচ্ছে আপনি একটা কাঠ-খোট্টা বিষয়কে অর্থপূর্ণভাবে মানুষকে বোঝাতে পারেন এবং তাকে একটা একশনে নিয়ে যেতে পারেন।
ডাটা নির্ভর গল্প বলার দক্ষতা যে আপনাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। তবে আর দেরি কেন?